A close up of a tooth with braces on it

দাঁতের ব্রেস (অরথোডন্টিক চিকিৎসা)

বাকা বা অসম দাঁত শুধু সৌন্দর্য নষ্ট করে না, খাওয়ার সমস্যা, চোয়ালের ব্যথা এমনকি আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিও তৈরি করতে পারে। অরথোডন্টিক চিকিৎসা বা ব্রেস এই সমস্যার কার্যকর সমাধান। বয়স, সময়, খরচ ও চিকিৎসা প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকলে সহজেই নেওয়া যায় সঠিক সিদ্ধান্ত।

TEAM DR REYAD DENTAL

9/15/20251 min read

woman lying on ground with yellow flowers
woman lying on ground with yellow flowers

আজকাল দাঁতের সৌন্দর্য ও সঠিক গঠন বজায় রাখতে দাঁতের ব্রেস বা অরথোডন্টিক চিকিৎসা খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে। দাঁত যদি বেঁকে যায়, ফাঁকা থাকে, বা উপরের-নিচের দাঁত সঠিকভাবে না মেলে তবে শুধু সৌন্দর্যই নষ্ট হয় না, দাঁতের কার্যক্ষমতাও কমে যায়। কিন্তু অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে – ব্রেস আসলে কোন বয়সে দেওয়া যায়? কত খরচ পড়তে পারে? কত সময় লাগে?

এই ব্লগে আমরা দাঁতের ব্রেস সম্পর্কিত এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জেনে নিই।

দাঁতের ব্রেস কেন প্রয়োজন?

  • দাঁত বাঁকা বা এলোমেলো হলে

  • দাঁতের ফাঁক বেশি থাকলে

  • উপরের দাঁত ও নিচের দাঁত সঠিকভাবে না মেললে (bite problem)

  • দাঁতের সৌন্দর্য ও আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য


কোন বয়সে ব্রেস দেওয়া সবচেয়ে ভালো?
  • শিশু ও কিশোর বয়স (১০–১৫ বছর) এসময় দাঁত ও হাড় নরম থাকে, তাই দাঁত দ্রুত সঠিক অবস্থানে আনা যায়।

  • প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও সম্ভব বয়স বাড়লেও ব্রেস দেওয়া যায়, তবে সময় একটু বেশি লাগে।

তাই ব্রেস শুধু শিশুদের জন্য নয়, প্রাপ্তবয়স্করাও সমানভাবে উপকৃত হতে পারেন।

ব্রেস দিতে কত সময় লাগে?
  • সাধারণত ১.৫ থেকে ৩ বছর সময় লাগে দাঁত সোজা করতে।

  • সময় নির্ভর করে –

    • দাঁতের অবস্থার জটিলতা

    • বয়স

    • নিয়মিত চেকআপে আসা

    • ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা


দাঁতের ব্রেসের খরচ কত হতে পারে?

বাংলাদেশে ব্রেসের খরচ নির্ভর করে ব্যবহৃত ব্রেসের ধরণ, ক্লিনিক, ও ডাক্তারের অভিজ্ঞতার উপর।

সাধারণ খরচের ধারণা:
  • মেটাল ব্রেস: তুলনামূলক সাশ্রয়ী (প্রায় ৪০,০০০–৭০,০০০ টাকা)

  • সেরামিক ব্রেস: দেখতে সুন্দর, দাম কিছুটা বেশি (৬০,০০০–১,০০,০০০ টাকা)

  • লিঙ্গুয়াল বা ইনভিজিবল ব্রেস: অনেকটা অদৃশ্য থাকে, দাম তুলনামূলক বেশি (১,৫০,০০০+ টাকা)

খরচ কেসভেদে পরিবর্তিত হয়, তাই সঠিক পরামর্শের জন্য ডেন্টিস্টের সাথে পরামর্শ করাই সবচেয়ে ভালো।

ব্রেস ব্যবহারকালে করণীয়:
  • প্রতিদিন ভালোভাবে ব্রাশ করা

  • চিপস, শক্ত বা আঠালো খাবার এড়িয়ে চলা

  • ডেন্টিস্টের দেওয়া ইলাস্টিক বা রাবার ব্যান্ড নিয়মিত ব্যবহার করা

  • প্রতি মাসে নিয়মিত চেকআপে যাওয়া


ব্রেস নিয়ে সাধারণ ভয় ও ভুল ধারণা:
  • ব্রেসে প্রচণ্ড ব্যথা হয়? সত্য নয়। প্রথম কয়েকদিন সামান্য অস্বস্তি হয়, কিন্তু পরে স্বাভাবিক হয়ে যায়।

  • বয়স বেশি হলে ব্রেস দেওয়া যায় না? সত্য নয়। যেকোনো বয়সে ব্রেস দেওয়া সম্ভব, শুধু সময় একটু বেশি লাগে।

  • ব্রেস পরে খাওয়া-দাওয়া করা যায় না? সত্য নয়। কিছু খাবার এড়ালেও বেশিরভাগ খাবার খাওয়া সম্ভব।


দাঁতের ব্রেস শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, দাঁতের স্বাস্থ্য ও দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ জীবনের জন্যও জরুরি। সঠিক বয়সে সঠিক চিকিৎসা শুরু করলে ফলাফল সবচেয়ে ভালো হয়। তাই দাঁতের সমস্যা থাকলে দেরি না করে একজন অরথোডন্টিস্টের সাথে পরামর্শ করুন।